ঘন ঘন প্রস্রাব, শারীরিক দুর্বলতা, প্রস্রাবে অতিরিক্ত সুগার, কিডনি রোগ, ধাতুগত সমস্যা ও নিউরোপ্যাথির স্থায়ী সমাধান
দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিকস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, থাইরয়েড হরমোন, বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি, বিষাক্ত টক্সিন জমে যাওয়া, দীর্ঘমেয়াদি ঔষুধ ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে এধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা নিরাময়ে “নিউরো হেলথ” ও ড্রিমগানো হেলথ জুস
উত্তর: নিউরোপ্যাথির প্রধানত তিনটি প্রকার:
1. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি – হাত-পা প্রভাবিত হয়।
2. অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি – অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো প্রভাবিত হয়।
3. ফোকাল নিউরোপ্যাথি – কোনো নির্দিষ্ট স্নায়ু বা স্নায়ুগুচ্ছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১. তীব্র নিউরোপ্যাথি (Acute Neuropathy)
সময়কাল: কয়েক দিন থেকে সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ।
এটি হঠাৎ শুরু হয় এবং দ্রুত বিকাশ লাভ করে।
উদাহরণ: গুইলেন-ব্যারে সিনড্রোম।
২. সাব-অ্যাকিউট নিউরোপ্যাথি (Subacute Neuropathy)
সময়কাল: ৪ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস।
লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকট হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়।
উদাহরণ: ভিটামিনের ঘাটতির কারণে সৃষ্ট নিউরোপ্যাথি।
৩. ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি নিউরোপ্যাথি (Chronic Neuropathy)
সময়কাল: ৩ মাস বা তার বেশি।
এটি ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে।
উদাহরণ: ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, অটোইমিউন নিউরোপ্যাথি।
সংক্ষেপে:
নিউরোপ্যাথি সময়কাল অনুযায়ী:
তীব্র (Acute): < ৪ সপ্তাহ।
সাব-অ্যাকিউট (Subacute): ৪ সপ্তাহ – ৩ মাস।
ক্রনিক (Chronic): > ৩ মাস।
এই শ্রেণীবিভাগ রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ধরণ নির্ধারণে সাহায্য করে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে “নিউরো গ্যানো” ও “রিলাক্স” গ্যানোডার্মা নির্যাস বছরে তিনমাস সেবনে নিউরোপ্যাথি ৮৫% নিরাময় করা সম্ভব তবে অতিরিক্ত ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে গেলে নিউরোপ্যাথি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য নাও হতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকা যায়।
উত্তর:
♦️ডায়াবেটিস
ভিটামিন বি১২, বি৬ বা বি১-এর অভাব
♦️দীর্ঘমেয়াদী এলকোহল সেবন বা ধুমপান।
♦️সংক্রমণ (যেমন: শিংগেলস)
♦️স্নায়ু আঘাত বা চাপ
♦️ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
♦️কিডনি বা লিভারের সমস্যার কারণে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া
♦️থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি
✅ ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কী?
উত্তর: এটি ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ুর ক্ষতি। দীর্ঘমেয়াদী রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। এটাই ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি।
উত্তর:
♦️ঝিনঝিন বা পিন-চাকা অনুভূতি
♦️পায়ে বা হাতে অসাড়তা
♦️পায়ের তালু জ্বালাপোড়া বা তীক্ষ্ণ ব্যথা
♦️ভারসাম্য হারানো
♦️স্নায়ুর অতিরিক্ত বা হ্রাসকৃত সংবেদনশীলতা
♦️ প্রশান্তিময় ঘুমের অভাবে দিনদিন শারীরিক ও মানষিক স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাওয়া
♦♦️পেশীতে শক্তি না পাওয়া
♦️ হাঁটলে পড়ে যাচ্ছে মনে হওয়া
♦️ ঝিঁ ঝিঁ বা কাঁপুনির মতো অনুভূতি হওয়া
♦️ পিন এবং সূঁচ ফুটানোর মতো অনুভূতি হওয়া
♦️ গরম, ঠান্ডা, বা চাপ ঠিকমতো অনুভব না হওয়া
♦️ পায়ের তলা ভারী অনুভূতি হওয়া যেন ভারি কিছু পরে আছে।
♦️ হাঁটা, ওঠা-বসা, বা ভার তোলায় সমস্যা হওয়া
♦️ ছোট ছোট জিনিস ধরতে অসুবিধা হওয়া
♦️ হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা
♦️ অতিরিক্ত ঘাম এবং ঘাম থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া
♦️ উপরোক্ত যে কোনও সমস্যা অনুভুত হওয়ার পর থেকে যৌনশক্তি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া বা দ্রুত বীর্যপাত হওয়া ?
উত্তর:
নিউরো গ্যানো সেবন, রিলাক্স গ্যানোডার্মা নির্যাস সেবন এছাড়াও
কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা (যেমন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ)
ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ (Gabapentin, Pregabalin)
ফিজিওথেরাপি
এক্যুপাংচার বা ম্যাসাজ থেরাপি
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট ইত্যাদি
উত্তর:
ভিটামিন বি৬, বি১২ ও বি১ সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: ডিম, মাংস, দুধ)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (যেমন: মাছ, বাদাম)
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার (যেমন: হলুদ, আদা, সবুজ শাকসবজি)
চিনি ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলা
উত্তর: প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে নিরাময়যোগ্য তবে অতিরিক্ত ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি পর্যায়ে গেলে নিউরোপ্যাথি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য নাও হতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকা যায়।
✅ নিউরোপ্যাথি কি বংশগত হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে এটি বংশগত হতে পারে, যেমন চারকট-মারি-টুথ ডিজিজ।
© 2025 All rights reserved.Developed by TOPPERIT